Concrete vs. Steel Building Advantages & Disadvantages



সাম্প্রতিক সময়ে কারখানার নির্মানে ষ্টীলের ব্যবহার বেশ বেড়ে গেছে। ষ্টীলের জনপ্রিয়তার পেছনে বেশ কিছু কারন রয়েছে ।তবে ষ্টীল বিল্ডিংয়ের বেশ কিছু অসুবিধা্ও আছে যেগুলো অনেকের মাথায় থাকেনা যার দরুণ পরবর্তীতে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়।

অসুবিধা উল্লেখ করার আগে বিভিন্ন আলোচনায় স্টিল স্ট্রাকচারের যে সুবিধাগুলো পা্ওয়া যায় তার মধ্যে একটি হচ্ছে সময় কম লাগে এবং ষ্টীল ফ্রেম যেহেতু কারখানায় তৈরী করে যায়গায় এসে সাজানো হয় সে কারনে ঝামেলাও কম হয়। ষ্টীল স্ট্রাকচারে কলাম থেকে কলামের দূরত্ব বেশি নেয়া যায় অর্থাৎ যায়গার কার্যকর
ব্যবহার বেশি। বিল্ডিং তুলনামুলক হালকা তাই ফাউন্ডেশনে সুবিধা হয় এবং নমনীয় ধরনের হবার কারনে ভূমিকম্পের ঝুকি তুলনামুলক কম। চাইলে ষ্টীল ফ্রেম খুলে অন্যত্র বসানো যায় এটা্ও একটি সুবিধা বটে। এসব বিবেচনায় বর্তমান সময়ে বহুতল ভবন সির্মানে ষ্টীলের ব্যবহার বেশ বেড়ে গেছে। তবে অভিজ্ঞ নির্মাতা ও প্রকৌশলীদের চোখে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা এখন ধীরে ধীরে আলোচনায় আসছে।

প্রথমত, ষ্টীল ভবনে আগুন একটি বড় সমস্যা। সকল ষ্টীল ফ্রেমে আগুন প্রতিরোধী যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার, অত্যাধিক ব্যায় সাপেক্ষ বিধায় সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়না।

দ্বিতীয়ত, ষ্টীল ভবনে নড়াচড়া করার অপশন রেখেই নির্মান করা হয় এবং একারনে প্রায়শই এবং অল্পদিনেই দেয়ালে ফাটল আসে। ফলে নির্মাতা এবং মালিকপক্ষ উভয়েই অস্বস্তিতে পড়ে যান।

তুতীয়ত, সময় বাঁচানোর জন্য অনেকে ষ্টীল ভবনের চিন্তা করলেও যথাযথ নির্মান ব্যবস্থাপনা এবং ফান্ড ফ্লো না থাকলে ঠিকই প্রচুর সময় লেগে যায়। অথচ বহুতল ভবনের ক্ষেত্রে খরচ অনেক সময় কনক্রিট ভবনের চেয়ে তুলনামুলক বেশি পড়ে যায়।

চর্তুথত, ষ্টীল ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের পুরুত্ব কম থাকে। ফলে একদম উপরের ছাদে তাপমাত্রা সহনীয় রাখা এবং সংকোচন প্রসারন নিয়ন্ত্রনে রাখতে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয় অন্যথায় ছাদে ফাটল দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমাদের দেশে খরচ বিবেচনা করে অনেকেই আর সেদিকে মনোযোগ দেননা। পরবর্তীতে এজন্য যথেস্ট ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

ফ্যাস্টরী ব্যবস্থাপকরা সচেতন না হলে যেমন অল্পদিনেই মরিচা পড়ে যাওয়া, ওয়ার্কারদের হাতে ষ্টীলের যেখানে সেখানে ছিদ্র হওয়া, এ ধরনের আরো কিছু সমস্যা হতে পারে যা ষ্টীল স্ট্রাকচারের জন্য অনেক সময় বড় ক্ষতির কারন হয়ে যেতে পারে।

-----------------------------------------

উৎসঃ স্থপতি খালিদ মাহমুদ

0 comments:

Post a Comment