কংক্রিট এর কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। এই বৈশিষ্ট্য দিয়ে ভাল বা খারাপ বিচার করা হয়। এই বিচার দুইটি অবস্থায় নির্ণয় করা হয়। একটি কাচা কংক্রিট এর এবং অপরটি শক্ত বা জমাট কংক্রিট এর। এগুলোর বর্ণনা নিচে দেয়া হলো
কাচা কংক্রিট
১।
ওয়ার্কিবিলিটি: এটি হচ্ছে কংক্রিট দিয়ে কাজ করার সুবিধা বা অসুবিধা বিচার করা হয়। ওয়ার্কিবিলিটি বলতে বোঝায় মিক্সিং, পরিবহন ও স্থাপন গুন। এটি নির্ভর করে পানি-সিমেন্ট এর অনুপাত, কোর্স এগ্রিগেট এর গ্রেডিং এবং ফাইন এগ্রিগেট এর অনুপাত।
২।
সেগ্রিগেশন: এটি বলতে বোঝায় কংক্রিট এর উপাদান সমুহের আলাদা হয়ে যায়। এতে করে কংক্রিট দুর্বল হয়ে যায়, হানিকম্ব হয়, ঘনত্ব কমে যায়।
৩।
ব্লিডিং: কংক্রিট থেকে পানি আলাদা হয়ে যাওয়াকে ব্লিডিং বলা হয়। এতে করে কংক্রিট এর মধ্যে ছিদ্র বা ফাপা উৎপন্ন হয়। কংক্রিট দুর্বল হয়।
৪।
হার্শ: কংক্রিট এর উপরিভাগের ফিনিশিং ভাল হওয়া প্রতিরোধকে হার্শ বলে। এতে করে উপরিভাগ অসমতল বা উচুনিচু হয়।
জমাট কংক্রিট
১।
স্ট্রেন্থ: কংক্রিট এর প্রধান গুন এইটি। এতে পর্যাপ্ত চাপ শক্তি নেয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। পর্যাপ্ত শক্তি না থাকলে এটি প্রয়োজনিয় লোড নিতে পারবে না। যার ফলে কাঠামো ভেঙ্গে পড়তে পারে।
২।
ডিউরোবিলিটি: স্ট্রেন্থ এর সাথে সাথে এর ডিউরোবিলিটিও বেশি হতে হবে। কেননা শক্ত হওয়ার পরেও যদি বেশি দিন স্থায়ি না হয় তাহলেও কাঠামো ভেঙ্গে যেতে পারে। স্থায়ি হওয়ার ক্ষমতাকে ডিউরোবিলিটি থাকে।
৩।
ইমপারমিয়াবিলিটি: পানি প্রবাহিত না হওয়ার ক্ষমতাকে ইমপারমিয়াবিলিটি বলে। জমাট বাধা কংক্রিট এর মধ্য দিয়ে যেন পানি প্রবাহিত হতে না পারে সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এর মধ্য বন্ডিং ভাল হলে, পোরাস বা ছিদ্র না থকলে, প্রয়োজনীয় ঘনত্ব থাকলে পানি প্রবাহিত হতে পারবে না।
৪।
শ্রিঙ্কেজ: সংকোচন হওয়ার বৈশিষ্ঠ্যকে শ্রিঙ্কেজ বৈশিষ্ঠ্য বলে। সংকোচন একদম অতি কম মাত্রায় হতে হবে। এর বেশি হলে খারাপ। ২৮ দিনে .০০০২৭৫ এর বেশি না হওয়া ভাল।
৫।
ক্রিপ: নিয়মিত বর্ধিত হওয়াকে ক্রিপ বলে। লোড দেওয়ার ফলে এর ক্রিপ কম হওয়া ভাল।
৬।
থার্মাল এক্সপানশন: তাপে যেন এর এক্সপানশন বা আয়তন বৃদ্ধি যেন বেশি না হ্য় তা খেয়াল রাখাতে হবে। বেশি মাত্রায় এক্সানশন হলে ক্র্যাক দেখা যায়।
Quality of Concrete in so simple way
ReplyDelete