10 Requirements for Protection Under Construction Buildings from Rain

বৃষ্টি আমাদের প্রায় সবারই প্রিয়। কিন্তু এই বৃষ্টি আবার বাড়ির জন্য মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। বাড়ি যদি সঠিকভাবে এই বৃষ্টি প্রতিরোধক বা সহ্য ক্ষমতা সম্পন্ন না হয়, তাহলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আসুন নিচের বিষয়গুলি ভালভাবে লক্ষ্য রাখি।
১.দেয়াল বা ছাদে কোন লিকেজ আছে কিনা
সাধারণত ছাদের লিকেজ বা ছিদ্র বা ফাটল
বৃষ্টির ক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশি অসুবিধা জনক। টেরাস বা ছাদের এই ধরণের কোন সমস্যা থাকলে তা আগেই ঠিক করে নিতে হবে। বর্তমানে অনেক ওয়াটার-প্রুফ ক্যামিকেল পাওয়া যায়। লিকেজ চেক করার জন্য পানির আবদ্ধ আধার তৈরি করে কিছুদিন রাখা যেতে পারে। এতে করে কোথাও কোন অদৃশ্য ফাটল বা সমস্যা থাকলে ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকে। রেইন ওয়াটার ট্র্যাপ এর মুখ নিয়মিত পরিস্কার রাখতে হবে যাতে করে পানি জমতে না পারে। দেয়ালের ফাটল বা লিকেজ মাটির নিচের দেয়ার বা উপরের বাহিরের দেয়ালে হতে পারে। ইট এবং কংক্রিট এর জয়েন্ট এ প্রায়ই ফাটল দেখা যায়। তাই ওয়্যার-মেস ব্যবহার করতে হবে।

২.সঠিক বায়ু চলাচল ব্যবস্থা
বায়ু চলাচলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকলে ড্যাম হয়। এখান থেকে পরে প্লাস্টার বা অন্য ফিনিশিং আস্তে আস্তে দুর্বল হয় এবং এক সময় নষ্ট হয়ে যায়। তাই এই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৩.বৈদ্যুতিক ফিটিংস
বৃষ্টির সংস্পর্শে কোন বৈদ্যুতিক ফিটিংস রাখা যাবে না। এতে করে বৃষ্টির সময় শর্টসার্কিট হবে। বৈদ্যুতিক রুমে কোনভাবেই যেন পানি যেতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৪.উই পোকা
স্যাতস্যাতে জায়গাতে উই পোকা বেশি হয়। তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন উই পোকা বাসা বাধতে না পারে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ দল ভাড়া করা যেতে পারে

৫.কার্পেট নিয়মিত পরিস্কার
বৃষ্টির সময় কার্পেট থেকে একধরণের স্যাতস্যাতে গন্ধ আসে। তাই নিয়মিত পরিস্কার রাখতে হবে যাতে করে এমন পরিস্থিতি না আসে। ময়লা এবং ভেজভেজা ভাব নিয়মিত ভ্যাকুউম ক্লিনার দিয়ে পরিস্কার করতে হবে।

৬.কাঠের মেঝে সাবধানে রাখা
কাঠ পানির সংস্পর্শে খুব বেশি প্রভাবিত হয়। তাই বৃষ্টির পানি থেকে দুরে রাখতে হবে। আদ্রতা এবং পোকার আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য অবশ্যই ভালমানের পলিশ করতে হবে।

৭.কাঠের ওয়্যারড্রোব বা ড্রয়ার রক্ষা
কাঠের এই ধরণের আসবাবপত্র ভাল জায়গায় রাখতে হবে। যাতে করে বৃষ্টির ছাট না আসে।

৮.বৃষ্টির নালা পরিস্কার রাখতে হবে
বৃষ্টির নালা সবসময় পরিস্কার রাখতে হবে। যাতে করে এর মধ্যে ভালভাবে পানি বের হতে পারে। তা না হলে পানি ফ্লোর নষ্ট করে ফেলবে। কোন পাতা, ময়লা, শ্যাওলা ইত্যাদি যেন না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পানি ওভারফ্লো হলে তা হাটাচলাচলের অসুবিধা হবে।

৯.নিয়মিত ঘর পরিস্কার রাখতে হবে।
নিয়মিত ঘর পরিস্কার রাখার মাধ্যমে বাতাসে আদ্রতার পরিমান ঠিক থাকবে। এয়ার-কন্ডিশন বা ডি-হিউমিইহফায়ার এর ব্যবহার করেও আদ্রতা ঠিক রাখা যায়। ঘরে পর্যাপ্ত সুর্যের আলো এবং বাতাস আসার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

১০.বৃষ্টির সময় ঘরের উন্নয়ন কাজ না করা
বৃষ্টির সময় ঘরের উন্নয়ন কাজ না করাই ভাল। কেননা এতে করে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শুকনা মওসুমে কাজ করতে হবে। যেমন ওয়াল পেপার লাগানো, নতুন রং করা, নতুন প্লাস্টার করা ইত্যাদি।

0 comments:

Post a Comment